গত ৭ নভেম্বর ২০২০, শহীদ করুণাময়ী সরদার স্মরণে অনলাইন ভিত্তিকএক সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। করুণাময়ী আজ থেকে ত্রিশ বছর পূর্বে পাইকগাছা উপজেলার হরিণখোলায় বাণিজ্যিক চিংড়িঘের বিরোধী এক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে নিহত এবং শহীদ হন। দিনটি ছিল ৭ নভেম্বর। অবৈধ এবং পরিবেশ বিধ্বংসী চিংড়িঘের বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী করুণাময়ী খুলনা জেলার বিগরদানা গ্রামের পোল্ডার বাইশ’এ বসবাস করতেন।তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় ভূমিহ‘বৈশ্বিক পূঁজির বিরুদ্ধে স্থানিক প্রতিরোধঃ করুণাময়ীর প্রতিরোধের ৩০ বছর’ শীর্ষক এই সেমিনারে আলোচক হিসেবে বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ গবেষকবৃন্দ এবং আন্দোলনকর্মীগণ। তারা হলেন অমিত কে. থাভারাজ, গুড্রুন হুবেন্ডিক , কাশা পাপ্রকি, খুশি কবির, স্বপন আদনান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বন্দনা শিবা। বিশ্বব্যাপী, বিশেষত এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠী কিভাবে বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষের ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন তা নিয়ে আলোচকবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা এবং নানামূখী সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে যুক্ত আছেন।আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশে অব্যাহত বাণিজ্যিক চিংড়িচাষের ফলে বিদ্যমান আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট থেকে তুলে ধরার চেষনিজেরা করি, উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি, এশিয়া, নাভদানিয়া এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স সোশ্যাল লাইফ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ উদ্যোগ সম্মিলিতভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।